এবারও ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিনেই বইমেলা শুরু হওয়ার কথা। সে লক্ষ্যে চলছে প্রস্তুতিও। কিন্তু হঠাৎ করেই বইমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি স্থগিত হয়ে গেছে।
অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এর স্টল বরাদ্দের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, একটি পক্ষের কথিত কালোতালিকাভুক্তদের কম জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার যে গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল, বাস্তবেও অনেকটা তাই হয়েছে। এ নিয়ে প্রকাশকদের মধ্যে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রকাশকদের কেউ কেউ বিগত আওয়ামী সরকারের আমলের সুবিধাভ
স্বাধীন বাংলাদেশ হিসেবে একটা নতুন রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠার পরেও একুশে ফেব্রুয়ারি, অর্থাৎ ভাষা আন্দোলন বিষয়টি আমাদের কাছে তাৎপর্যপূর্ণ, আজকেও আমাদের কাছে এর আবেদন বহমান, আজকেও আমাদের ডাকে, আমাদের মনে এক অনুভূতি সৃষ্টি করে। কেন করে? সে কি শুধু এ কারণেই করে যে, বাংলা ভাষা শিক্ষার সর্বস্তরে প্রযুক্ত হয়নি? স
গত দুদিনের (শুক্র-শনি) ছুটিতে অমর একুশে বইমেলা ছিল জমজমাট। মেলার শেষ দিক হওয়ায় উপচেপড়া ভিড় ছিল। ছুটি শেষে গতকাল রোববার বইমেলা প্রাঙ্গণ ছিল ছিমছাম, ভিড়মুক্ত। পাঠক ও দর্শনার্থীরা বেশ...
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে বগুড়ার শেরপুরে শেষ হয়েছে তিন দিনব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় বিভিন্ন প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে এই আয়োজনের ইতি টানা হয়।
বিশ্বব্যাপী বাংলা ভাষাভাষী মানুষ একুশে ফেব্রুয়ারিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে, শ্রদ্ধাঞ্জলি জানায় ভাষাশহীদদের প্রতি। ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষার দাবিতে যে রক্তঝরা আন্দোলন হলো, তা শুধু দেশ নয়, দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে আজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃত ও সম্মানিত। শহীদের রক্তের বিনিময়ে যে ভাষা আমাদের হলো, সেই ভাষার
ছেলের কাছে মায়ের যতনে লেখা চিঠি। জানতে চাওয়া—‘খোকা তুই কবে আসবি? কবে ছুটি?’ খোকা আসেনি। ফাগুনরঙা এক বিকেলে লুটিয়ে পড়ে পথে। পিচের বুকে শিমুল-পলাশের লালে মিশে যায় খোকার খুন। সেই খুনে গজিয়ে ওঠে বর্ণমালা অ আ ক খ। এই তো এই দিনে। ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫২ সালে।
উচ্চশিক্ষায় মাতৃভাষা বাংলার ব্যবহার এখনো উপেক্ষিত। চিকিৎসা, প্রকৌশল, বিজ্ঞান, ব্যবসায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা এখনো ইংরেজি ভাষায় রচিত বইয়ের ওপর নির্ভরশীল। অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদানও হচ্ছে ইংরেজি ভাষায়। ফলে দীর্ঘদিন ধরে উচ্চশিক্ষায় বাংলা ব্যবহার শুধু কথাতেই রয়ে গেছে।
১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্বদানের কারণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পুলিশি নির্যাতন, গ্রেপ্তার ও কারাভোগ করেন; ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় নিরাপত্তা-বন্দী হিসেবে ঢাকা ও ফরিদপুর কারাগার থেকে আন্দোলনকারীদের নির্দেশনা দিয়ে ভাষা
আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি—প্রভাতফেরির গানে খালি পায়ে যখন প্রথমবার শহীদ মিনারে গিয়েছিলাম, তখন আমার বয়স আট বছর। প্রথমবার শহীদ মিনারে ফুল দিতে যাওয়াটা একটা উৎসব ছাড়া তখন আর কিছু মনে হয়নি।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক ও সাম্যবাদী চিন্তক যতীন সরকার। তিনি শিক্ষকতার পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে সাহিত্যচর্চা, বাম রাজনীতি এবং প্রগতিশীল আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুই মেয়াদে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর লেখা ও সম্পাদিত অর্ধশতাধিক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ‘পাকিস্তানের জন্মম
আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। অনেকেই হয়তো ভুলতে বসেছে যে আজ মূলত শহীদ দিবস। ১৯৯৯ সালে ইউনেসকো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এ দিবসটি এখন বিশ্বব্যাপী পালন করা হয়। দিবসটি এসেছে আমাদের শহীদ দিবসের হাত ধরে—এ কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়।
আজ অমর একুশে। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে এই দিন রক্ত ঝরেছিল। পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্মের পঞ্চম বছরে এসেই সন্দেহ, অবিশ্বাস আর শোষণ-বঞ্চনার বিষয়গুলো স্পষ্ট হতে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, একুশ (২১ ফেব্রুয়ারি) আমাদের মাথা নত না করতে শিখিয়েছে, কাজেই মাথা উঁচু করেই বাঙালি জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তির
এক কিশোরী স্কুলছাত্রী ‘মেঘনাদবধ কাব্য’ হাতে নিয়ে পোজ দিল। পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তার বন্ধু ছবি তুলল। কিশোরী ছবি তোলা শেষে বইটি রেখে দিল যথাস্থানে। স্টলের বিক্রয়কর্মী জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপা, বই কিনবেন না?’ স্কুলছাত্রী মিষ্টি হেসে বিদায় নিল।
চার উৎসবের মিলনে ১৪ ফেব্রুয়ারি বইমেলায় পা রাখার জায়গা ছিল না। তবে পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবারই মেলা ফিরে পায় তার স্বাভাবিক রূপ। ছিল না উপচে পড়া ভিড়। স্বাচ্ছন্দ্যে বই কিনে বাড়ি ফেরেন পাঠক।
২০০২ সালের পর থেকে ফেব্রুয়ারি এলেই গণমাধ্যমে একটি তথ্য ছড়িয়ে পড়ে, তা হলো- সিয়েরা লিওনের দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা বা অন্যতম রাষ্ট্রীয় ভাষা বা দাপ্তরিক ভাষা বাংলা। আসলেই কি বাংলা দেশটির দ্বিতীয় রাষ্ট্রভাষা? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ।